ঘরে বসে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

একজন বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য তার নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ড থাকা খুবই জরুরী। আর এই ভোটার আইডি কার্ডের বানান যদি ভুল হয় তাহলে এটি সংশোধন করা যায়। ভোটার আইডি কার্ডের বানান সংশোধন করা এখন খুবই সহজ হয়ে গেছে । ঘরে বসেই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যাবে

ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায় অনলাইনে। ভোটার আইডি কার্ডে ভুল হয় নিজের নাম অথবা বাবার নাম অথবা মা এর নাম। কারো কারো বয়স কম বেশি হয়ে যায় অথবা ঠিকানা বা জন্মস্থান ভুল হয়ে যায় । আসুন আমরা কিভাবে অনলাইনে ঘরে বসে এই সমস্যার সমাধান করতে পারি তা জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্র

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন প্রক্রিয়া 

ঘরে বসে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনাকে সর্ব প্রথমে একটি সার্চ ইঞ্জিন ওপেন করতে হবে। আপনি চাইলে গুগল অথবা chrom browser ওপেন করতে পারেন । যেকোনো ব্রাউজারে সার্চ করতে হবে বাংলাদেশ এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম । এটি লিখে সার্চ করলে আপনি আপনার কাঙ্খিত ওয়েবসাইটটি পেয়ে যাবেন। নিচে দেখানো ছবির মত একটি ওয়েবসাইট আসবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে । 
ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন

এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর নিচে দেখানো ছবির মত একটি হোমপেজ আসবে । এই হোম পেজে দুইটি অপশন থাকবে। প্রথম টিতে থাকবে রেজিস্ট্রেশন করুন আর দ্বিতীয় টিতে থাকবে আবেদন করুন। অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অ্যাকাউন্ট নেই এর নিচে রেজিস্ট্রেশন করুন এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে । আর যারা এনআইডি কার্ড এর জন্য আবেদন করতে চান বা যাদের এন আইডি কার্ড নাই তারা নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন বা আবেদন করুন এই অপশনটি বেঁচে নেবেন ।
এই একটি ওয়েবসাইট থেকেই আপনি আপনার সমস্ত তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন বা সংশোধন করতে পারবেন। নামের বানান ভুল বা জন্ম সাল ভুল বা পিতা-মাতা নাম ভুল এই সমস্ত কাজ এই একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে পারবেন । 
ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন


রেজিস্ট্রেশন করতে হবে

আমরা জানি, অনলাইনে কোন কাজ করতে হলে সর্বপ্রথম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। প্রত্যেকটি এনআইডি কার্ডের জন্য প্রত্যেকবার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আপনি যদি একাধিক এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে একাধিকবার এই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যাদের এনআইডি কার্ডে ভুল রয়েছে তাদের এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে । মনে রাখতে হবে যে, একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে একবারের বেশি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না ।

আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য অ্যাকাউন্ট নেই বা রেজিস্ট্রেশন করুন এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে । তাহলে আপনাকে একটি নতুন পেজে নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে আপনি তথ্য দিবেন। সেই পেজে যা যা চাইবে তা তা সঠিকভাবে দিবেন ।

আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য সঠিক তথ্য দিতে হবে

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের যে নাম্বারটি রয়েছে সেই নাম্বারটি এখানে বসাবেন। নিচে জন্ম তারিখ জন্ম সাল দিবেন। মনে রাখবেন বর্তমানে যেটি রয়েছে বা সংশোধন করার পূর্বে যে জন্ম সাল রয়েছে সেই জন্ম সালটি ব্যবহার করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারটি যেন সঠিক হয়। এগুলো দেওয়ার সময় মনে রাখবেন যেন কোনটা ভুল না হয়। ভুল হলে আপনি পরবর্তী কার্যক্রম করতে পারবেন না ।
 এরপর একটি ভেরিফিকেশন এর জন্য কোড দেওয়া থাকবে সেই কোডটি দেখে হুবহু নিচের ছকে পূরণ করতে হবে। ভেরিফিকেশন কোডটি যদি ভুল হয় তাহলে পুনরায় আপনার এন আই ডি কার্ডের তথ্য দিতে হবে। রেডি কার্ডের তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর একবার ভালোভাবে দেখে নিবেন। তারপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে ।
সাবমিট করার পর আপনার বর্তমান ঠিকানা জেলা বিভাগ উপজেলা এগুলা সঠিকভাবে দিতে হবে । এরপর স্থায়ী ঠিকানা জেলা উপজেলা বিভাগ দিতে হবে । কারো কারো ক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা দুইটি ভিন্ন হয়ে থাকে । আবার কারো কারো এই দুইটা একই হয়ে থাকে । আপনার এনআইডি কার্ডে যদি এগুলা ভুল থাকে তাহলে সেই ভুল অনুযায়ী দিবেন। কারণ এই ভুলটাই অনলাইনে রয়েছে। তাই এইসব তথ্য দেওয়ার সময় সঠিকভাবে দেবেন। 

ভেরিফিকেশন করতে হবে 

সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ার পর আপনাকে ভেরিফিকেশন করতে হবে। ভেরিফিকেশন করা খুবই সহজ। আপনার কাছে যে ফোন নম্বর রয়েছে বা যেটি আপনি ব্যবহার করেন এরকম একটি ফোন নাম্বার দিবেন। ভেরিফিকেশন করতে আপনার নিজস্ব মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। মোবাইল নম্বর দেওয়ার পূর্বে দেখে নেবেন যে কোন দেশের নাম্বার কোড দেওয়া আছে। যেমন বাংলাদেশের নাম্বার কোড হল (+880) । এরপর আপনার কাঙ্খিত নাম্বারটি দিয়ে দিবেন । নাম্বার দেওয়া হলে বার্তা পাঠান এই বাটনে ক্লিক করবেন ।
এরপর আপনার ফোনে একটি ছয় সংখ্যার ওটিপি যাবে। ওটিপিটি সঠিকভাবে যাচাই করুন এই অপশনটিতে বসাতে হবে। যদি আপনার ওটিপি ঠিক হয় তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে । যদি ওটিপি ভুল হয় তাহলে আপনাকে আর্নিং দেখাবে। কয়েকবার ওয়ার্নিং দেখালে আপনার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। আমি একটি ছয় সংখ্যার ওটিপি দিয়ে রেখেছি এর জায়গায় আপনার ফোনে যে ওটিপি টি আসবে সেই ওটিপি টি দিবেন। আমার ওটিপি যদি আপনি দেন তাহলে এটা ভুল হয়ে যাবে। নিজের ফোনের ওটিপি  ব্যবহার করবেন । প্রতিবার otp পরিবর্তন হয়। প্রতিটি মানুষের জন্য ওটিপি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে ।



ওটিপি ভেরিফিকেশন করার পর আপনাকে এই ইন্টারফেজে নিয়ে আসবে। এই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হলে নিচের তিনটি ধাপ অনুযায়ী কাজগুলো করতে হবে । তার পাশে একটি কিউ আর কোড (QR) দেওয়া আছে । আইডি কার্ড সংশোধন করতে হলে কিছু ফি দেওয়া লাগে । যা এনআইডি ওয়ালেট এর মাধ্যমে দিতে হয় । তাই সর্বপ্রথম প্লে স্টোর থেকে এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপসটি ইন্সটল করে নেবেন। এনআইডি ওয়ালেট ( NID Wallet ) অ্যাপস টি ইন্সটল করার পর কিউআর কোড এর জায়গায় ওপেন এনআইডি ওয়ালেট এই অপশনটি আসবে। এই অপশনটি আসলে ভেবে নেবেন যে আপনার এনআইডি কার্ড এর জন্য যে ফি দেওয়া লাগবে তার জন্য যে কাজগুলা করতে হতো সেগুলা হয়ে গেছে । এরপর কিউআর কোড এ ক্লিক করতে হবে।

ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন

সনাক্তকরণ 

এনআইডি ওয়ালেট এ আসার পর আপনার ফেস স্ক্যান করতে হবে । আপনি যে আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাচ্ছেন, এটা আপনি না অন্য কেউ তা যাচাই করার জন্য স্ক্যান করতে হবে । নিচে দেখানো নিয়ম অনুযায়ী ফেস স্ক্যান করতে হবে। নিচের ছবি দেখে চেষ্টা করুন । মনে রাখতে হবে যে , যার এনআইডি কার্ড তার ফেস স্ক্যান করতে হবে। অন্য কারো ফেস স্ক্যান করলে হবে না। 
স্ক্যান ( Scan ) করার জন্য আপনার মুখের সামনে দিক, ডানপা্স , বাম পাশ ভালো হবে নাড়াচড়া করতে হবে । নিচে দেখানো ছবির মত করে ফেস স্ক্যান ( Face Scan ) করতে হবে ফেস স্ক্যান হয়ে গেলে তিনটি ছবিতে টিক চিহ্ন আসবে । যদি কোন একটি ছবিতে টিক চিহ্ন না আসে তাহলে আবার ভালোভাবে মুখটি ডানে বামে সরিয়ে স্ক্যান করতে হবে । যতক্ষণ না তিনটি ছবিতে টিক চিহ্ন আসছে ততক্ষণ ফেসি স্ক্যান করতে হবে। এরপর পরবর্তী অপশনে ক্লিক করবেন ।

প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন

শনাক্ত করার পর আপনাকে নিচে দেখানো ছবির মত পেজে নিয়ে আসবে। এখানে দেখতে পাবেন প্রোফাইল দেখুন / পরিবর্তন করুন এই অপশনটি দেখতে পারবেন । এই অপশনটিতে প্রবেশ করবেন । এই অপশনটিতে প্রবেশ করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দেখতে পাবেন এবং পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনার যেসব জায়গায় পরিবর্তন করার দরকার বা সংশোধন করা দরকার শুধু সেই সব জায়গায় পরিবর্তন করবেন। অযথা অন্য জায়গায় পরিবর্তন করতে যাবেন না।
এখান থেকে আপনি আপনার নাম ,আপনার বয়স, এবং আপনার জন্ম সাল, আপনার জন্ম তারিখ এমনকি এখান থেকে আপনি আপনার সকল কিছু পরিবর্তন করতে পারবেন । মনে রাখবেন , আপনি যেটি পরিবর্তন বা সংশোধন করতে চাচ্ছেন শুধু সেটি পরিবর্তন বা সংশোধন করবেন। আর যেটি পরিবর্তন করবেন তার উপরে দেখবেন একটি খালি ঘর রয়েছে সে ঘরটি টিক চিহ্ন দ্বারা পূরণ করে দিবেন। 

ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন


ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি বা চার্জ

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কিছু ফি বা চার্জ লাগে । এই এ ফি বা চার্জ আপনার এনআইডি ওয়ালেট এ যোগ করতে হবে । nid ওয়ালেটে টাকা যোগ করার জন্য আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার প্রয়োজন হবে। এর জন্য আপনি বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন। নিচে দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী আপনার এনআইডি ওয়ালেট এ টাকা এড করতে পারবেন। নিচের কিছু স্ক্রিনশট দেখে বুঝতে পারবেন কিভাবে এনআইডি ওয়ালেটে টাকা এড করতে হয় ।
ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন
 
এন আই ডি কার্ড সংশোধনের জন্য ফি লাগে ২৩০ টাকা । বিকাশ অ্যাপ এ গিয়ে এনআইডি সার্ভিস ফি এড করতে গেলে ২৩০ টাকা অটোমেটিক সিলেক্ট থাকবে। আপনি যদি অন্য কিছু পরিবর্তন করতে চান তার ক্ষেত্রে ফি চার্জ বেশি লাগতে পারে। আপনি এনআইডি কার্ড এর বেশি কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে হয়তো বেশি চার্জ লাগবে।
ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন
সার্ভিস ফি দেওয়া হলে আপনার এরকম একটা ইন্টারফেস আসবে। এখানে আপনার একটি ড্রপ এপ্লিকেশন রয়েছে এটি থাকবে। তার উপরে এডিট নামে একটি অপশন রয়েছে। এডিটে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন করে নেবেন। ভালোভাবে সংশোধন করবেন যেন এটি ঠিক হয়। সংশোধন করতে গিয়ে যদি আবার কোন জায়গা ভুল করে দেন তাহলে সে ভুলটি থেকে যাবে । তাই আপনার সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন ।


ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন

সংশোধন করতে যেসব ডকুমেন্ট লাগবে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হলে আপনার কিছু ডকুমেন্ট লাগবে । যে সব ডকুমেন্ট লাগবে সেগুলো দেখতে চাইলে ডকুমেন্ট এ ক্লিক করুন । যেমন আপনার নাম পরিবর্তন করতে চাইলে আপনার স্কুল সার্টিফিকেট লাগবে ,আপনার জন্ম নিবন্ধন লাগবে ইত্যাদি । এগুলো পিডিএফ ফাইল আকারে রেখে দিবেন । যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে সে সব ডকুমেন্ট আপলোড দিবেন পিডিএফ ( PDF ) ফাইল আকারে । নিচে দেখানো ছবির মত আপলোড দিবেন ।

ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন
আপনার সঠিক তথ্য দেওয়ার পর আপনার আবেদনটি হয়ে যাবে । এভাবেই আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হয়ে গেলে নিচে দেখানো ছবির মত আপনার একটি ইন্টারফেস আসবে। এর মানে এই নয় যে আপনার এনআইডি কার্ডটি পরিবর্তন হয়ে গেছে । এটা শুধুমাত্র একটি মাধ্যম আবেদন করার । আবেদন করার পর কিছুদিনের মধ্যে এটি কার্যকর হবে ।
ভোটার-আইডি-কার্ড-সংশোধন


মনে রাখতে হবে অনলাইনে আবেদন করার পর একটি হাতের হাত পরিবর্তন হবে না । নির্বাচন অফিসের কাছে এটি পেন্ডিং হিসাবে থাকবে । যখন আপনার কার্ড সংশোধন করা হবে তখন আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হলে আপনি বুঝে নেবেন যে আপনার কাজটি সম্পূর্ণভাবে হয়ে গেছে। সম্পূর্ণভাবে কাজটি হয়ে গেলে আপনি অনলাইন থেকে এর কপি ব্যবহার করতে পারেন বা বিভিন্ন জায়গায় এটি ব্যবহার করতে পারেন।

আমার মন্তব্য

বর্তমানে এর আইডি কার্ডের সংশোধন বিষয়টি সবার কাছে জানা । কিন্তু কেউ এটা জানে না যে এ কাজটি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন। কেউ কেউ দিনের পর দিন অপচয় করেন এই এনআইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য। অপরিয়ক্ত বিষয়গুলো ভালোভাবে মেনে চললে খুব সহজে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন । 
আশা করি আমার এই তথ্য অনুযায়ী কাজ করলে আপনি ঘরে বসে আপনার কাজটি করতে পারবেন।যদি কোন জায়গা বুঝতে না পারেন বা কোন কিছু জানতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন । যোগাযোগ করার জন্য যোগাযোগ এই লিংকে ক্লিক করুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url